২০২৫ সালে ঈদুল আজহা কত তারিখে? জেনে নিন এই গুরুত্বপূর্ণ দিনের সঠিক সময়!
![]() |
২০২৫ সালে ঈদুল আজহা কবে?
২০২৫ সালে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৬ জুন, শুক্রবার। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, এই দিনটি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পড়ে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার চন্দ্র মাসের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়, তাই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে প্রতি বছর ঈদুল আজহার তারিখ পরিবর্তন হয়।
ঈদুল আজহা, যা কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত, এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এই দিনটি বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন।
ঈদুল আজহা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
ঈদুল আজহা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি আত্মত্যাগ এবং আনুগত্যের প্রতীক। এই দিনটি হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগের স্মরণে পালন করা হয়। আল্লাহর নির্দেশে তিনি তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। আল্লাহর রহমতে শেষ মুহূর্তে ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানি হয়। এই ঘটনা মুসলিমদের জন্য আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের শিক্ষা বহন করে।
এই দিনে মুসলিমরা পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন এবং এর মাংস গরিব-দুঃখী, আত্মীয়-স্বজন এবং নিজেদের মধ্যে বণ্টন করেন। এটি সামাজিক সম্প্রীতি এবং সহমর্মিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
ঈদুল আজহা উদযাপনের পদ্ধতি
ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য মুসলিমরা কিছু বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। এই দিনটি শুরু হয় ঈদের নামাজ দিয়ে। ঈদের নামাজ সাধারণত সকালে মসজিদ বা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে মুসলিমরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এরপর কুরবানির পশু জবাই করা হয়। কুরবানির পশু হতে পারে গরু, ছাগল, ভেড়া বা উট। কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয়: এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য।
এই দিনে মুসলিমরা নতুন পোশাক পরেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন এবং একে অপরের বাড়িতে বেড়াতে যান। এটি একটি আনন্দের দিন, কিন্তু এর পাশাপাশি এটি আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের দিনও বটে।
ঈদুল আজহা ২০২৫ তারিখ নির্ধারণের পদ্ধতি
ইসলামিক ক্যালেন্ডার চন্দ্র মাসের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয়, যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার থেকে আলাদা। চন্দ্র মাস ২৯ বা ৩০ দিনের হয়, তাই প্রতি বছর ঈদুল আজহার তারিখ পরিবর্তন হয়।
২০২৫ সালে ঈদুল আজহা ৬ জুন তারিখে পড়বে। এই তারিখ নির্ধারণের জন্য ইসলামিক স্কলাররা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেন। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারিত হয়।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশে চাঁদ দেখা কমিটি গঠন করা হয়, যারা চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকারীভাবে ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
ঈদুল আজহা উদযাপনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
ঈদুল আজহা উদযাপনের ইতিহাস হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর সময় থেকে শুরু হয়। আল্লাহর নির্দেশে তিনি তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন। এই ঘটনা মুসলিমদের জন্য আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের শিক্ষা বহন করে।
এই ঘটনার স্মরণে মুসলিমরা প্রতি বছর ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। এটি শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক সম্প্রীতি এবং সহমর্মিতারও একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
ঈদুল আজহা ২০২৫: কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- তারিখ: ৬ জুন, ২০২৫ (জিলহজ ১০, ১৪৪৬ হিজরি)
- দিন: শুক্রবার
- উদযাপন: ঈদের নামাজ, কুরবানি, সামাজিক সমাবেশ
- প্রস্তুতি: নতুন পোশাক, সুগন্ধি, কুরবানির পশু ক্রয়
ঈদুল আজহা উদযাপনের সময় করণীয়
ঈদুল আজহা উদযাপনের সময় কিছু বিশেষ করণীয় রয়েছে। এই দিনে মুসলিমরা ঈদের নামাজ আদায় করেন, কুরবানি দেন এবং গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করেন। এছাড়াও, এই দিনে মুসলিমরা একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এই দিনে মুসলিমরা নতুন পোশাক পরেন, সুগন্ধি ব্যবহার করেন এবং একে অপরের বাড়িতে বেড়াতে যান। এটি একটি আনন্দের দিন, কিন্তু এর পাশাপাশি এটি আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের দিনও বটে।
ঈদুল আজহা ২০২৫: কিছু সাধারণ প্রশ্ন
ঈদুল আজহা ২০২৫ কত তারিখে?
২০২৫ সালে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৬ জুন, শুক্রবার।
ঈদুল আজহা কেন পালন করা হয়?
ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর আত্মত্যাগের স্মরণে পালন করা হয়। আল্লাহর নির্দেশে তিনি তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন।
কুরবানির মাংস কিভাবে বণ্টন করা হয়?
কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা হয়: এক ভাগ গরিব-দুঃখীদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনের জন্য এবং এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য।
উপসংহার
২০২৫ সালে ঈদুল আজহা ৬ জুন তারিখে উদযাপিত হবে। এই দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক। এই দিনে মুসলিমরা পশু কুরবানি দিয়ে থাকেন এবং এর মাংস গরিব-দুঃখী, আত্মীয়-স্বজন এবং নিজেদের মধ্যে বণ্টন করেন। এটি সামাজিক সম্প্রীতি এবং সহমর্মিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
ঈদুল আজহা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি একটি শিক্ষা। এটি আমাদের আত্মত্যাগ, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং সামাজিক সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়। তাই এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।